ভাবুক সেই ছেলেটি
রাচনা-প্রহ্লাদ কুমার প্রভাস (P.k)
অতি সাধারণ একটি গ্রামের অতি থেকে অতি সাধারণ একটি ছেলে। অতি দরিদ্র ও গরীব পরিবারে তার জন্ম। সবসময়ই সাধারণ ও সাদামাঠা জীবন যাপন করত সে। বাল্যকালে একটু দুষ্টু আর মিষ্টি ও ছিল। কখনও কারও সাথে ঝগড়া হলে সে চেচামেচি করত ঠিকই কিন্তু সে যদি কখনও তার নিজের দোষ দেখত বা নিজে দোষ করেছে এটা বুজতে পারত তবে সে এমনিতেই চুপ হয়ে যেত। তখন তাকে যতই মারধর গালিগালাজ করা হোক না কেন সে চুপচাপ দেখতো টু শব্দটি পযর্ন্ত করত না। এটা নিয়ে তার মা ও তাকে বলে” আমার ছেলে দোষ করলে সে অবশ্যই চুপ থাকে। কোন কথা বলে না”। কিন্তু সে আবার ছিল প্রচন্ড রাগী। একটু উল্টাপাল্টা হলেই মুখে যা আসে তাই বলে।
কারণ ছিল সে ছোট থেকেই ছিল একটু অন্য ধরনের সৎ,ন্যায়, ধর্ম ও সততার সাথে চলার চেষ্টা করত সবসময়ই।খুব বেশী অন্যায় বা মিথ্যা সহ্য করতে পারত না। উচিৎ কথা যেন সে সবাই কেই বলতে পারে। এতটাই মনোবল ও সৎসাহসী সে। তবে তার দ্বারাও কখনও কখনও ভুল হয় হাজার হলেও মানুষ তো। আর মানুষ মাত্রই ভুল করে। যাইহোক তার বাবা অনেক ধরনের ব্যবসা করত যেমন আম, কাঁঠাল ইত্যাদি ইত্যাদি। দাদুও ওসব ব্যবসা করত বিভিন্ন লোকদের সাথে মিলে। অনেক কিছুই করেছে জীবন জিবীকার তাগিদে।কিন্তু যাইহোক কোন কাজেই খুব বেশী সাফল্য তারা পান নি। চিরকাল যে গরীব সেই গরীবই রয় গেছে। এরপর বাবা কাপড়ের ব্যবসা শুরু করে যেখানে বাকীতে কাপড় নিয়ে এসে বিক্রি করে তারপর সেই লাভের টাকায় সংসার চালাত আর দোকানের বাকী টাকা পরে হালখাতায় শোধ দিত। কিন্তু এতেই সব কুলাতো না। সেই টাকা পরিশোধের জন্য ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিত তারপর সেই টাকা আবার শোধের জন্য মানুষের কাছে হাত পাততে হতো। যাইহোক এভাবেই চলছে সবকিছু। ছেলেটি ছোট থেকে খুব বেশী ঘরের বাইরে ও যেত না প্রয়োজন ছাড়া।………….(১ম পর্ব)……………
এভাবেই সে সবসময়ই থাকত তার নিজের পড়াশুনা নিয়ে।তেমন কোন বাজে সঙ্গ সে করত না। প্রাইমারির result নিতান্তই খারাপ ছিল না তার। তার শৈশব ছিল খুবই মধুর। সারাদিন বিভিন্ন খেলাধুলা r পড়াশুনা নিয়েই থাকত।এভাবেই চলে এলো তার মাধ্যমিক স্কুল life সেখানে প্রথম দিকে স্যারদের তেমন সান্নিধ্য না পেলেও ssc পরীক্ষার কাছাকাছি সময়ে প্রায়ই সব স্যারদের নজর কাড়ছিল ছেলেটা। কিছু স্যার ম্যাম তাকে পছন্দ ও করত মোটামুটি। যদিও সেখানে স্যারদের ছেলেমেয়েও কিছু ছিল। Jcs এর ফল ও তার মোটামুটি ভালোই ছিল।এভাবে তার ssc পরীক্ষা চলে এলো এই সময় টাতে সে দীর্ঘ পরিশ্রম করত সর্বোচ্চ নম্বর cut করার জন্য। সে সবসময়ই ইংলিশ স্যারের একটি কথা মাথায় রাখত” Practice makes a man perfect “. এছাড়াও সে ভাবত Industry is the key to success. তাই সে রাত দিন পড়াশুনা করত।ভোরবেলাও উঠে পড়ত। যাইহোক Ssc ফল প্রকাশিত হলো। হোল স্কুল মিলিয়ে তখন একটাই A+ আসল। যদিও সেখানে science এর অন্যরাও ছিল কিন্তু তাদের অল্পের জন্য হলো না। যদিও এই রিজাল্ট টা সর্বোচ্চ নয়। এসব স্কুল মাধ্যমিক পর্যায়ের result এর বিশেষ কোন value নাই। তাই তার next target ছিল hsc.
………(২য় পর্ব)……….
তারপরে গ্রামের কলেজ থেকে কিছু স্যার আসল প্রিন্সিপাল ও সাথে ছিল সম্ভবত ( ভারপ্রাপ্ত) বাড়িতে খুঁজে বলল তাদের কলেজে ভর্তি হতে। সমস্ত সুযোগ সুবিধা নাকি তারাই দিবে।উপবৃত্তিসহ যাবতীয় বই যা লাগে সব দিবে। আসলে গ্রামের কলেজ তো তাই তেমন কেউ science এ ভর্তি হয় না কিছু লোকের কথায় আবার কিছু ভয় ও পায়। যাইহোক হোক ছেলেটির বাবা, দাদাও বলল ফাও বাইরে না গিয়ে এখানেই পড়। যাইহোক তাদের কথা মতো সব দিক বিচার বিবেচনা করে কলেজে ভর্তি হলো। তাদের কথা মতো বই, উপবৃত্তি সব দিল। গ্রামের কলেজ তো তাই খুব বেশী লোক ছিল না science এর। ৭-৮ জন হয়ত ভর্তি হয়েছিল কিন্তু তাদের মধ্যে প্রায়ি কেউই ছিল না। সবশেষে ছেলেটি আর তার স্কুল friend দুইজন ছিল r পরে আরেকজন এসছিল মোট চারজন।ভালো ভাবেই কাটছিল সব কিছু কিন্তু হঠাৎই “করোনা মহামারা”। তারপর স্কুল কলেজ বন্ধ। পরীক্ষা হবো হবো করে আর পিছিয়ে যায়। যাইহোক দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর কাটিয়ে সমস্ত হতাশা নিরাবতা r একঘেয়েমিতা কাটিয়ে exam হলো। সেখানে মোটামুটি সব পরীক্ষা ভালোই হলো এক পর্যায়ে result ও দিল। এখানেও রিজাল্ট মোটামুটি ভালো চার জনের তিন জনই G.p.A 5 নিয়ে উত্তীর্ণ হলো। সব কিছু ভালোই ছিল তবু তার মনে হতো এসব কিছুই না সার্টিফিকেট বিশেষ কোন কাজে আসবে না। next target admission of any university.
বাট যত বিপত্তি সব এখানেই। যেন দীর্ঘদিনের পরিশ্রম r অধ্যবসায় সব হয় দুঃখ না হয় সফলতায় বদলে যাবে। যেন এখানে অকৃতকার্য ব্যক্তিরা দুনিয়ার সব থেকে অঘা। এটা যেন জীবনের সবকিছু।মানুষের ভালো লাগা মন্দ লাগা সব যেন এটাকেই ঘিরে। যেন এটা এক সোনার হরিণ যে পাবে সেই কোটিপতি। তাই তো প্রত্যেকেই এটার পানে চেয়ে থাকে দুচোখে প্রাপ্তির আশা নিয়ে। যেমন চাতক অহর নিশি আকাশপানে চেয়ে থাকে আকাশ কে কাছে পাবে বলে। university এর ট্যাগ যে student এর গায়ে লাগে নাই সে কোন student ই নয় এমনিই প্রতিপন্ন হয়।
………..(৩য় পর্ব)………..
এখান থেকেই তুলনা সমালোচনা শুরু হয়।যাই হোক যেই ছেলেটা ঘর থেকে বাইরে যেত না প্রয়োজন ছাড়া, মা যদি একটু বাড়ির পাশের দোকানে যেতে বলত তাই সে যেতে পারত না বা যেত না সেই ছেলেটা সেইদিন গিয়েছিল তেপান্তরে সেই অজেনা অচেনা চট্টগ্রাম মেডিকেল দিতে।
যদিও তার কোন কোচিং বা গাইডলাইন ছিল না। অদম্য ইচ্ছে, বুকে দীর্ঘ বল আর পকেটে কিছু টাকা এই সম্বল নিয়ে জার্নি করে চট্টগ্রাম by a bus. যদিও সে ছোট থেকেই কোথাও প্রাইভেট বা কোচিং করে নি। নাইন টেন যাই কিছু গিছিল প্রাইভেটে। যাইহোক প্রায়ই একদিন একরাতের Journey শেষে পৌছায় চট্টগ্রাম।কিন্তু এই অক্লান্ত কষ্ট করে গিয়েও সেখানে থাকতে পারেনি বেশীদিন পরীক্ষা দিয়েই আবার টিকিট কাটতে হয় কেননা ওটা ছিল তারাই এক দাদার বাসা। হাজার হলেও তারাও ভাড়ার তাই থাকাটা বোধহয় ঠিক নয়। তাছাড়াও সেই ওকে পরের দিনের টিকিট টা করতে বলেছিল। যাইহোক এত কষ্টের ফল হিসাবে পরীক্ষাতে আশানুরুপ result হলো না। যদিও এতে তার ও তার পরিবারের বিশেষ কোন আক্ষেপ ছিল না।কেননা তার জানত এভাবে বিনা গাইডলাইন বা কোচিং মেডিকেলের মতো একটা পরীক্ষা সম্ভব নয়। তাছাড়াও তারা বলত “সবার ভাগ্যে সব থাকে না।তাছাড় ও ডাক্তার? এটা যদি আমাদের হতো (হেসে বলত) চিন্তা করিশ না ভার্সিটির জন্য পড় ওতেই হবে”।তারা এটাকে তাদের দূর্ভাগ্য বলেই মেনে নিয়েছিল। তার মা বলত” চান্স পেলেও কি তোর বাবার টাকা নাই ভর্তি করার। ডাক্তারি পড়তে গেলে অনেক টাকা লাগে। আমাদের আছে বল? শুধু শুধু গেলি কত্ত বারণ করলাম”।
তার মা আর ও বলত ” না হলেও কি এমনি পাশে কোথাও ভর্তি হোশ।ওত চিন্তা করা লাগবে না”।
যদি ও মেডিকেলর জন্য তার কোন চিন্তা ছিল না। তার কিছু দিন পর হলো গুচ্ছ সহ অন্যন্য ভার্সিটির পরীক্ষা।…………..(৪র্থ পর্ব)…………….
Most Tragedy part of life
পরীক্ষা দিল অনেক দূরে দূরে গিয়ে খুলনা, রাজশাহী, পটুয়াখালী। কিন্তু এতকিছুর পরেও ফলাফল সবই জিরো। এর ভিতর ভার্সিটির টেনশনে ন্যাশনালে ও ভর্তি হয়েছে কিনা সে খেয়াল ও করেনি সে। যার ফলে ন্যাশনালেও ভর্তি হতে পারে নি প্রথম বছর। Nu website এ সার্চ করলে লেখা এসছিল ” You are not include in our admission processes “. যে কারণে “He lost his most big one year in his life. So he was depressed.”
এটা শুধু depression ই ছিল না এটা ছিল কোমা আকৃতির একটা জালের মতো। সারাজীবনের শ্রম দীর্ঘ journey, journey তে ব্যায়িত টাকা এসব ভেবে ভেবে যেন সে পাগলে পরিণত হচ্ছিল দিন দিন। কেউ কেউ বলত “এ পাগল হয়ে যাবে তো “।
সারদিন এটাই ভাবত ছেলেটি” হেরে গেলাম সবকিছুতেই।হয়ত কোথাও কর্ম খারাপ ছিল। কেননা কথায় আছে মানুষ যা করে তার শাস্তি সে দুনিয়াতেই পেয়ে যায়। আমার সম্পর্কে মানুষ এখন কি বলবে? ভালো ছেলে তবে চান্স কেন হলো না?”এটা ভাবতে ভাবতে তার ঘুম নাই কোনদিকে কোন খেয়াল নয় এভাবে প্রায়ই না ঘুমিয়ে কিছু মাস কেটে গেল প্রায়ই দু তিন মাসের ও বেশী। তার ও বেশী।”ভালো ছেলে তো কি হলো”? এটাই বলবে সবাই এটা ভেবে ভেবে তার ঘুম আসত না সারাদিন রাত। শুধু চোখ বুঝে শুয়ে থাকত। সারারাত কে কখন উঠলো এসবই সে জানত পরে বলত। “সারারাত আমি ঘুমাই না।বাবা আমার ঘুম হচ্ছে না। মা সারাদিন শুয়ে থাকলেও একটুও ঘুম হয় না। বিশ্বাস করো”। কেউ বিশ্বাস করত না।বলত ” যে কেউ না ঘুমালে বাঁচতে পারে? ও ঘুম হয় তুই বুজতে পারিশ না পাগল”। কিন্তু ভিতরে ভিতরে সে শেষ হয়ে যাচ্ছিল।চারিদিকে তাকালে শুধু ভয় ভয় করত। বলত ” আমার মাথার ভিতরে দম দিয়ে থাকে। বুকের ভিতরে কি জানি হয় ভীষণ ভার ভার লাগে। মাথা যেন কেমন ভার সবসময়ই। আমি অনেক দূর্বল হয়ে গেছি। আমাকে ডাক্তার দেখাও”। গ্রামে গ্রাম্য ডাক্তার দেখানো হলো কয়েকবার কিন্তু তার ওষুধে কোন কাজ হলো না।অবশ্য সে নিজেও ডাক্তার দেখাতে চাইনি এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে বলে।
পরে সাতক্ষীরার “মানস কুমার মন্ডল মেডিসিন বিশেঙ্গ ” তাকে দেখানো হলো। তার ওষুধে অল্প অল্প কাজ হতে লাগল।
………….(৫ম পর্ব)…………
Most tragedy part of life
পুরোপুরি কাজ হয় নি আবার এক থেকে দুইবার যেতে হয়েছিল। ঘুমের ঔষধেও কাজ করেনি তার। রাতের পর রাত জেগে জেগে কাটিয়ে দিয়েছে কেউ তার খোঁজ নেয় নি। যা শুধুমাত্র ওই ছেলেটিই জানে। এক কথায় মারাত্মক দূর্বিষহ হয়ে ওঠে তার জীবন।
ছেলেটি ২য়বার পরীক্ষা দিবে বলে ভাবে।তার এক দাদা বলে” তুই পরীক্ষা দে ভালো করে পড়লে তুই নিশ্চয়ই পারবি।” বলল ” মেডিকেল সহ সব ভার্সিটি আবার দে””।সে কিছু বই ও দিছিল বরিশাল থেকে।তারপর মেডিকেলের জন্য বই ও সে কিনে কিন্তু সে বই আজো ওভাবেই আছে পড়া আর হয়ে ওঠেনি। কি পড়বে? কোথা থেকে পড়বে? এই টেনশনে।পড়া যেন r মাথায় ঢুকতো তার তাই সে আর মেডিকেল দেয়নি।কিছুদিন পর সাধারণ গুচ্ছ তে কোনমতে পরীক্ষা টাতে দেয় কিন্তু তাতে কোন কাজ হয় নি।তারপর ধীরে ধীরে দীর্ঘ কয়েক মাসের ঘোর আধার কাটিয়ে ভোরে সোনালী আলো ফুটতে লাগল একটু একটু করে। রাতের কালো আস্তে আস্তে দূরভূত হতে লাগল। ঘোর অনামিশা সরতে লাগল একটু একটু করে। তারপর ছেলেটির জেদ ধরে বাইরে গিয়ে কলেজ করবে আর মেস বা বাসায় থাকবে। বাড়ি থেকে রাজী হচ্ছিল না টাকার জন্য কিন্তু সে ভালো থাকবে এরকম ভেবে মেস ভাড়া করে দেওয়া হলো।
তারপর থেকে তার জীবন এখন প্রচন্ড আনন্দেই কাটছে। দীর্ঘ কয়েক মাসের ( তা প্রায়ি অর্ধ বছরের ও বেশী)ঘোর তমাচ্ছন্ন জীবণ কাটানোর পরে এখন তার সোনালী সূর্যের আর্বিভাব ঘটেছে তার জীবনে।
তবে তার এই গল্পের কিছু নায়িকা ও ছিল।তার গল্পের কিছু নায়িকার মধ্যে এক নায়িকা এখনো তার সঙ্গ দিচ্ছে।যদিও admission life তাদের সাথে খুব বেশী কথা হতো না তার।মাঝে মাঝে একটু করে। সে ভালো বাসা বা প্রেম কিংবা বন্ধুত্বে তেমন বিশ্বাসী নয়। সে বলে ছেলে r মেয়ে শুধু friend কখনোই হতে পারে না বিশেষ করে ধর্ম যদি এক হয়।
………….(৬ষ্ঠ পর্ব)…………….
Best of his life
এমন কিছু মেয়ে সে তার life এ পেয়েছে যারা নিজেই থেকেই তার কাছে এসছিল। কেউ কেউ বলত ভালোবাসে কেউ কেউ বলত পছন্দ করে। কেউ নীরবে বলত তো কেউ গোপনে আবার কেউ সামনাসামনি সরাসরি। কিছু চোখের ভাষাতে কিছু আবার মনের। একজন ছিল স্কুল পর্যায়ে যখন সে এক স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়ত। তিনি ছিলেন গার্লস স্কুলের টিচার। আর তার কাছে গালর্সের মেয়েও পড়বে এটাই স্বাভাবিক।তো সেখানে এক মেয়ে ছিল যে তাকে এক নজর দেখার জন্য চাতকের মতো চেয়ে থাকত। তার সামনে যেয়েই থাকত তাকেই সরিয়ে দিত সামনে থেকে বলত ” সর সামনে থেকে ওকে দেখব”। তাকিয়ে থাকত একভাবে। সেই মেয়েটি সেই ছেলেটির নম্বর ও নেয় আর একটা ইয়া বড় সাইজের চিঠিও দেয় তাকে। তারপর sms কল করতে থাকে। কিন্তু ছেলেটি তার সাথে সরাসরি বা ফোনে কখনও কথা বলছে কি তার মনে পড়ে না। তবে sms এ কথা বলত মাঝে মাঝে। যদিও মেয়েটি ছিল মুসলিম r তার অন্য bf ও ছিল। এসবের জন্য ছেলেটি খুব বেশী তাকে পাত্তা দিত না বা বিশ্বাস ও করত না ওসব। একদিন মেয়েটি তার বন্ধুদের সাথে বাজী ধরে যে সে ছেলিটির কোন জামা গায়ে দিতে পারবে কিনা। আর ছেলেটি তার জিনিস কিছু পরবে এটা পারবে কিনা এরকম কিছু। কিন্তু সে বলছিল হ্যা পারব আমি ওর জিনিস পরতে। তখনই ছেলেটির এক ফ্রেন্ড যে ওখানেই পড়ত সে আবার ওদের দুজনকে connecte করার চেষ্টা করত। ও বললেই ছেলেটিকে ওর সামনে ঠেলে দিত বসার জন্য। যাইহোক সেই ছেলেটি ওই ছেলের গা থেকে শীতের সোয়েটার টা খুলে নিয়ে ও গায়ে দেয়। আর সাথে সাথে মেয়েটি সেটা পরে নেয় কিছু না ভেবেই। যেখানে ছেলেটি থ হয়ে নির্বাক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে আর বলতে থাকে ” আমি ওটা r নিব পা পরবোই না কেচে ছি ছি”। তারপর মেয়েটির উড়না না কি সম্ভবত গায়ে দিতে বলে।
…………….(৭ম পর্ব)……….
Best of his life
এসবে কোন interest ই তার ছিল না। বরং সে বিষয় টাতে নিহাতই মজাই নিচ্ছিল। যাইহোক এভাবেই চলতে চলতে একদিন পেরিয়ে আসতে হলো স্যারের বাড়ির সেই ছোট্ট আঙ্গিনা। যত হাসি মজা সব ওই আঙ্গিনার ভিতরেই সীমা বদ্ধ ছিল। এরপর কলেজ জীবনে ও রমনী এসছিল কিছু তার জীবনে তবে তাদের সাথে “তার” কথা হয় নি কখনও। যাইহোক এরই মধ্যে তারই এক ফ্রেন্ড যে ছেলেটির প্রাইমারি ক্লাসমেট ও ছিল। সে হঠাৎই এক মেয়ের প্রস্তাব দেয় তাকে। r মেয়ের সাথেও ছেলেটির সম্পর্কে অনেক ভালো ভালো কথাও বলে। এসব শুনে নাকি মেয়েটি আরোও প্রেমে পড়ে যায়।যদিও আগে থেকেই নাকি হাবুডুবু খাচ্ছিল এখন পুরাপুরিই ডুবে গেছে।
ছেলেটির জীবন যা এক সিনেমার গল্পকেও হার মানাবে আর অন্যদিকে ওই মেয়ের সাথে ছেলেটির দেখাও হয় এক সিনেমার কাহিনি অনুরূপেই। একদিন মেয়েটি তার বান্ধবীদের সাথে প্রাইভেট থেকে বাড়ি ফেরার পথে তার এক ভ্যানের সাথে accident হইতে ছিল তবে সৌভাগ্য বশত ওই ভ্যানে সেই ছেলেটি বসা ছিল আর সেই তাকে হাত দিয়ে দূরে ঠেলে দেয়। যেকারণে মেয়েটি সেই যাত্রায় বেচে যায়।যদিও বাচা মরা ঈশ্বরের হাতে যার যে ভাবে লিখবে তার সেখানেই হবে মানুষের কোন হাত নেই। মানুষ উপলক্ষ্য মাত্র। তবে ওইদিকে মেয়েটি সবসময়ই তার দিকে আকুল দৃষ্টিতে চেয়ে থাকত। যেখানে দেখা হয় সেখানেই নির্বাক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে।
“যেন বিষণ্ন চিত্তে,ভালোবাসার নিমিত্তে মনের মাঝে শুধু ছেলেটিরই ছবি আকেঁ।
আর মনে আনমনে, নিরবতার ক্ষণে শুধু যেন ছেলেটির কথাই ভাবে।
সুখ যেন তার ওই দুটি মায়াবী চোখে যদি দেখে এক নজর ছেলটিকে।
ক্লান্ত পথিকের তৃষ্ণার জল যেন মিটাইতো তার হৃদয় টিকে।।
দেখিলে কোথাও ছেলেটির প্রতি তার এই মায়ায় সরিতো না তার নজর।।
মনে আনমনে অতি সঙ্গোপনে সাজাইতো তার মনের বাসর।”
পৃথিবীর যত ভালোবাসা মনে হয় তারই চোখে এসে ধরা দেয় যখনই সে ছেলেটিকে দেখে। অপলক দৃষ্টিতে অপূর্ব মায়ায় সর্বদাই চেয়ে থাকে ছেলেটির দিকে যেমন চাতক থাকে আকাশ পানে দিবানিশি চেয়ে। যেন ছেলেটি কে পেলে সে স্বর্গ রাজ্য পেয়ে যাবে। এতোটাই পাগলী সে।
…………(৮ম পর্ব)……….
আজো সে ছেলেটিকে একটি নজর দেখার জন্য ছুটে ছুটে আসে।
তার দুটি চোখ যেন শুধু সারাক্ষণ ওই ছেলেটিকেই খুজে।
তবে আজ সে ছেলেটির শুধুই গল্পের পাতায়।
থাকবে আজীবন নিরাবতায় আর চিন্তা চেতনায়।।
যাইহোক ছেলেটি এসব কিছুই বিশ্বাস করে না। তবে মেয়েটি তার মুখ থেকে একটিবার ” i love you” কথাটি শুনবে বলে অধির আগ্রহে অপেক্ষা করে আছে। মেয়েটির শুধু একটাই প্রশ্ন যা বারবার করে চলে ছেলেটি আসলে কীসের তৈরী। সে তার নাম দিয়েছে “লাড্ডু”।মেয়েটির নাম “রাখি দেবনাথ”
যাইহোক এরকম কিছু নায়িকা এসছিল তার লাইফে কিন্তু সবই অসম্পূর্ণ যা কখনো পূর্ণ হবে না। তার একদাদার শ্বশুরবাড়ির ওখানে ও একজন ছিল।
যাইহোক ছেলেটি আজ সব ভুলে খুবই আনন্দে আছে।
আসলে জীবন একটা নদীর মতো যেখানে জোয়ার ভাটা সবসময়ই লেগেই থাকে।তাই জীবনে কখনো কখনো সুখের জন্য দুঃখ কে আপন করে নিতে হয়। জীবনের কিছু কালিমা মুছে আলোর নতুন ফুল ফোটাতে দুঃখ প্রাপ্তিটা অনিবার্য। ঠিক যেমন নদীর পাড়ে থাকা ময়লা, আর্বজনা দূরীভূত করার জন্য ও কখনও কখনও নদীতে ঢেউ বা স্রোতের দরকার হয়। হাসি কান্না, সুখ, দুঃখ নিয়েই তো জীবন। দীর্ঘ প্রতিকূলতার বাধ ভেঙে আজ ছেলেটির জীবনে যথেষ্ট আনন্দের স্রোত বহিতেছে। বেজায় বিন্দাস কাটিতেছে তার দিন। আসলে কখনো কখনো সুন্দর অলংকারে রূপান্তরিত হতে হলে স্বর্ণকেও অগ্নিতে দগ্ধ হতে হয় ঠিক তেমনি মানুষের অন্তরাত্মা কে পবিত্র করার জন্যও কখনও কখনও দুঃখ, র্দুদশা, বাধ, প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়।
………….(৯ ম)…………
আসলে এতক্ষণ ধরে যে কাহিনী টা লিখলাম সেটা আসলে কোন গল্প নয় এটা গল্প হলেই সত্যি। এটা সম্পূর্ণ একটা বাস্তবধর্মী আত্নপরিচিতিমূলক কাহিনী। যেখানে সেই ছেলেটি আমি “নিজেই”। আর এর সবই আমার সাথেই ঘটেছে বাস্তবে। যেটা ফুটিয়ে তুলেছি একটা ছোট্ট গল্প আকারে।অনেকেই ফেইসবুকে এমন পোস্ট করে দেখি যে, যদি নিজের লাইফ নিয়ে গল্প লেখা হয় তাহলে তার নাম কি দিবেন?। তাই বে খেয়ালি চিত্তে মনে আনমনে নিজের লাইফ টাকে সংক্ষিপ্ত করেই নাম দিলাম ” ভাবুক সেই ছেলেটি”” আর এই ছেলেটির গল্পের প্রধান নায়িকা ওই পাগলিই।
ছেলেটি আসলেই ভাবুক বড্ড বেশীই প্রশ্ন করে কিছু না বুজলে ঠিকঠাক। জীবনে যতই বাধা, বিপত্তি আসুক না কেন যদি মনে তীব্র সাহস, প্রবল ইচ্ছে শক্তি, দৃঢ় মনোবল, অপরিসীম ধৈর্য্য এবং অগাধ আত্ম বিশ্বাস থাকে তবে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। কেননা কথায় আছে “Where there is a will there is a way.” So try to do your level best.Forget the rest & enjoy your best. Don’t to be upset.We should change ourselve for the new.
সমাপ্ত
নিজের সংক্ষিপ্ত পরিচয়
নাম- প্রহ্লাদ কুমার দাশ (সংক্ষেপে-P.k) (জন্ম-03.02.2003)
পিতা- হারান চন্দ্র দাশ
মাতা- পুতুল রানী দাশ
জেলা- সাতক্ষীরা
থানা – আশাশুনি
গ্রাম- বল্লভপুর
বর্তমান শিক্ষা প্রতিষ্টান- সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ডিপার্টমেন্ট অফ ম্যাথমেটিক্স ( অর্নাস প্রথম বর্ষ)
পেশা- আপাত স্টুডেন্ট
মোবাইল – 01939619291